কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকা থেকে ভুয়া র্যাব পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা পথচারীর নিকট থেকে নগদ অর্থ ও দামী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার সময় দুই যুবক কে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- খুলনা কয়রা উপজেলার আংটিয়ারা এলাকার ইব্রাহিম গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৭) ও গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট এলাকার আকরাম মুন্সির ছেলে মো. সুমন মুন্সি (৩২)।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে ১৪ এপিবিএন পুলিশকে খবর দেয়। পরে এপিবিএন আটককৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে র্যাব লেখা ২ টি জ্যাকেট, ১টি ওয়াকি টকি সেট, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, র্যাবের মিথ্যে পরিচয় পত্র, ব্যক্তিগত এনআইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর মনোগ্রাম যুক্ত মানিব্যাগ, ছিনতাইকৃত ৩ টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে- ‘র্যাব পরিচয় দিয়ে দু’জন যুবক প্রায় সময় এই এলাকায় ঘুরাঘুরি সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। গতকাল রাতে তাদের কথা বার্তা সন্দেহ জনক মনে হলে স্থানীয় লোকজন তাদের পরিচয় জানতে চায়। তখন তারা সঠিক পরিচয় দিতে পারেনি। লোকজন তখন তাদের আটক করে ক্যাম্পের পাশে থাকা ১৪ এপিবিএন পুলিশকে খবর দিলে এসময় তারা তাদের আটক করে। আটকের পর উখিয়া থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন- ‘মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকায় ভূয়া র্যাব পরিচয় দানকারী দু’জন ব্যক্তিকে ১৪ এপিবিএন পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন মুন্সি নিজেকে সেনাবাহিনীর বহিস্কৃত নায়েক পরিচয় দেন। মোহাম্মদপুর র্যাব ২ তে কর্মরত ছিনতাই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদকের ৭ টি মামলা রয়েছে। তিনি এক বছর সাত মাস কারাভোগের পর গত ২২ দিন পূর্বে জামিন পেয়েছেন বলেও স্বীকার করেন।
অপরজন ফারুক হোসেন নিজেকে সেনাবাহিনীর বহিস্কৃত সিপাহি বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন। এক বছর কারাভোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত